লোগো ডিজাইন করুন মনের মতো

অনুপ্রেরনা যেকোনো জায়গা থেকে যে কোন সময় আসতে পারে, আর লোগো ডিজাইন এর ক্ষেত্রে যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।আপনি জানেন না যারা অভিজ্ঞ তাদের লোগো কেমন হয় আপনি হয়তো দেখেন ই নাই তারা কিরকম ডিজাইন করে তাহলে আপনি ভাল লোগো ডিজাইন করতে পারবেন না।তাই আপনাকে লোগো দেখতে হবে, ভাল লোগো, খারাপ লোগো সব দেখতে হবে তাহলে ই আপনি ধারনা পাবেন কিভাবে লোগো ডিজাইন করতে হয়।সে জন্য ইন্টারনেট এ কিছু সাইট আছে সেখানে গেলে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর লোগো দেখতে পাবেন যা আপনার উপকার এ আসবে।

একটি সুন্দর লোগো সব সময় খুব সিম্পল হতে হবে এবং সেখানে একটা মেসেজ থাকতে হবে।সেই কোম্পানির কি করতে চায়, কি ধরনের কোম্পানি সেটা একটা সিম্বল এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে হবে।সেগুলি করতে হলে আপনাকে লোগো ডিজাইন এর কিছু বেসিক নিয়ম আছে সেগুলি জানতে হবে।
লোগো অবশ্যই সিম্পল হতে হবে – লোগো যদি সিম্পল হয় তাহলে মানুষ সেটা দেখে সহজে বুঝতে পারবে।এমন লোগো আপনি বানালেন যেটা দেখে বুঝতে সময় লাগে অনেক তাহলে সেই লোগো দর্শক গ্রহন করবে না।

আপনার লোগো মনে রাখার মতো হতে হবে – এমন লোগো ডিজাইন  করতে হবে যেটা দর্শকরা মনে রাখবে, তার মানে কিন্তু এই না সেখানে অনেক কালার ব্যবহার করতে হবে, অনেক রকম স্টাইলিশ ফন্ট ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি।আপনার লোগো তখনই মানুষ মনে রাখবে যখন সেটা সিম্পল হবে কিন্তু সেটার মধ্যে একটা স্টোরি থাকবে।

লোগো স্থায়ী হতে হবে- এমন ভাবে লোগো ডিজাইন করবেন যেন সেটা সময় এর সাথে সাথে পুরানো হয়ে না যায় না, সেই কোম্পানিকে যেন দএক বছর বছর পর পর লোগো ডিজাইন করার কথা চিন্তা করতে না হয়।বিভিন্ন মার্কেট প্লেস এ দেখা যায় বায়াররা জব পোস্ট করে আগের লোগো পুরানো হয়ে গেছে নতুন করে আধুনিক লোগো বানাতে চায়।আর সেটা আগের লোগো ডিজাইনার এর জন্য খুব সুখকর হউয়ার কথা না।তাই সময় এর সাথে লোগো যেন পুরানো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব জায়গায় দেখতে ভাল লাগতে হবে- আপনি একটা লোগো ডিজাইন করলেন যেটা অনেক বড় করে বিল বোর্ড এ দিলে দেখতে চমৎকার লাগে আবার একদম ছোট করে বিজনেস কার্ড এ দিলে খুব ই বিশ্রী লাগে, আবার কালার অবস্থায় অনেক সুন্দর লাগে কিন্তু সাদাকালো করলে কিছুই বুঝা যায় না, এখানে ও সিম্পল লোগোর কথা চলে আসবে, আপনার লোগো ডিজাইন যখন অনেক জটিল হয়ে যায় তখন সেই লোগোর সাইজ অথবা কালার  পরিবর্তন করলে অনেক কিছু বুঝা যায় না। আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি লোগো ডিজাইন কিভাবে করবেন।কোন স্টেপ এর পর কোন স্টেপ আসবে।শুধু কম্পিউটার এ সফটওয়্যার নিয়ে বসে গেলে ই তো লোগো হয় না আরও অনেক ব্যাপার আছে যেগুলি আপনাকে মানতে হবে।এক একজন ডিজাইনার এর ডিজাইন প্রসেস এক এক রকম হতে পারে কিন্তু কিছু বেসিক ব্যাপার আছে যেগুলি সব ডিজাইনার ই মেনে চলে।

যেমন

বায়ার এর কাছ থেকে ভাল করে জেনে নিন- বায়ার এর কাছ থেকে ভাল করে জেনে নিতে হবে, সে কি রকম চায়, তার  কোম্পানির কি উদ্দেশ্য, তার কোন কালার পছন্দ আছে কিনা, নিজের কোন আইডিয়া আছে কিনা এই বাপারগুলি ভাল মতো জেনে নিতে হবে, যত ছোট ব্যাপার এই  হোক আপনি সম্পুরনভাবে ক্লিয়ার হয়ে ডিজাইন করতে বসবেন।

গবেষণা করে নিন – আপনি যখন বায়ার এর কাছে জানতে চাইবেন তখন হয়তো সে তাদের ওয়েবসাইট এর ঠিকানা আপনাকে দিয়ে দিবে এবং বলবে এখান থেকে সব কিছু বের করে নেয়ার জন্য।তখন আপনি সেই ওয়েবসাইট থেকে বের করে নিবেন, কোন ধরনের কোম্পানি, কি কাজ করে, মুল উদ্দেশ্য কি, এরপর আপনি ওরকম এ অন্য কোন ওয়েবসাইট এ ঢুকবেন অথবা গুগলে সার্চ দিবেন বুঝার চেষ্টা করবেন বাকিরা কিভাবে চিন্তা করেছে, যেহেতু এক ই ধরন এর কোম্পানি তাই আপনি ধারনা নিতে ই পারেন।এখানে কপি করা যাবে না, ধারনা নিয়ে নিজের মতো বানাতে হবে।

–কাগজে কলমে একে নিন- বায়ার এর চাহিদা এবং আপনি গবেষণা করার পর কি বে হল সেগুলি কাগজে ড্রাফট করে ফেলুন।

–একটু বিরতি নিন – কাগজে একে ফেলার পর ডিজাইন করার আগে একটু বিরতি নিন কারন বিরতি নিলে ডিজাইন এর আইডিয়াটা আরও বেশি পরিপক্ক হবে যেটা প্রোফেসনাল লোগো ডিজাইন এর জন্য অনেক দরকার।

–বায়ারকে লোগো দেখান- এরপর ডিজাইন করুন, সব কাজ ই কিন্তু হয়ে গেল শুধু ডিজাইন বাকি, তাহলে দেখলেন তো কম্পিউটার এ বসে ডিজাইন করা কতো পরের বিষয় অন্তত লোগো ডিজাইন এর ক্ষেত্রে।একটা কপি না করে কয়েকটা কপি করুন তারপর বায়ারকে দেখান, বায়ার কি বলে সেগুলি শুনুন তারপর ভুলগুলি ঠিক করুন

–আপনার লোগোর দাম ঠিক করুন

–লোগো দাম কি রকম হবে, খুব ই কমন একটা প্রশ্ন।উত্তর দেয়া ও কঠিন।আসলে আপনাকে বুঝতে হবে ব্যাপারটি।এইটা নরভর করে আপনি বায়ারকে কতো গুলি আলাদা আলাদা ডিজাইন এর লোগোর কপি দিলেন, কতগুলি রিভিশন লাগল, কি পরিমান গবেষণা করা লাগছে এবং সব থেকে বড় কথা হল সেই কোম্পানির বিজনেস কতো বড় অথবা ছোট।তাই কিছু প্রশ্ন করুন নিজেকে দেখবেন উত্তর পেয়ে যাবেন সহজে ই যেমন

–     কি ধরন এর লোগো জন্য আপনি মূল্য নির্ধারণ করছেন

–     গ্রাফিক ডিজাইন এবমগ লোগো ডিজাইন এর ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা কতো দিনের

–     অন্যরা এরকম ডিজাইন করতে কিরকম দাম নেয়

–     আপনি কি ঘন্টা হিসেবে টাকা নিবেন নাকি প্রোজেক্ট হিসেবে

–     আপনার লোগোটি ডিজাইন করতে কি রকম সময় লেগেছে

–     লোগোটা ডিজাইন করতে গিয়ে আপনার কোন খরচ হয়েছে কিনা

–     যে কোম্পানির জন্য লোগো ডিজাইন করেছেন সেটি কতো বড় অথবা ছোট

–     আপনার বায়ার কি কততুকু আপনাকে দিতে পারে ধারনা করুন

এর পরেও যদি কেউ লোগো ডিজাইন করতে না পারেন তবে আমাদের ইন্সটিটিউটে ভর্তি হতে পারেন। এখানে হাতে কলমে আপনাকে শেখানো হবে।

Related posts

Leave a Comment